Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত প্রক্ষেপণ প্রতিবেদন

দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য  যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপদ এবং পুষ্টিকর খাদ্য  প্রয়োজন। সেই বিবেচনায় মানুষের খাদ্য তালিকায় আদিকাল থেকেই সবজি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে  আছে। বিবিএস ২০১৫ অনুযায়ী মোট ফসলি জমির পরিমাণ ৭.৯৩ মিলিয়ন হেক্টর যার মধ্যে সবজি ফসলের দখলে মাত্র ২.৬৩%  এর কিছু ওপরে। এ থেকেই অনুমান করা যায় কত অল্প পরিমাণ জমি থেকে আমাদের ক্রমবর্ধিষ্ণু বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য সবজির চাহিদা মেটানো হচ্ছে। এ অবস্থার অবসানকল্পে আমাদের খাদ্য তালিকায় মানবদেহের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় দুটি খাদ্য উপাদান, বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ ও ভিটামিনের পর্যাপ্ত  প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের জন্য এগুলোর সবচেয়ে সহজলভ্য উৎস বিভিন্ন প্রকারের সবজির অন্তর্ভুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
তাছাড়া উন্নত দেশে মাথাপিছু সবজির প্রাপ্যতা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। তাই আমাদের দেশে সবজির উৎপাদন বাড়াতে হবে সেটি নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। সবজির উৎপাদন বাড়াতে হলে সবজির উৎপাদন খরচের দিকে নজর দিতে হবে। কৃষকগণ যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হতে পারে সে সাথে পাইকারি ব্যবসায়ী, ফড়িয়া ও খুচরা ব্যবসায়ীও যেন অধিক মুনাফার আশা না করে  যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিপণন করতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত উৎপাদিত পণ্য যথাযথ মূল্যে বিক্রি করতে না পারলে উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে। তাই উৎপাদিত সবজির ন্যূনতম বাজার মূল্য নির্ধারণ করে কৃষক পর্যায়ে তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেই দৃষ্টিকোন থেকে টমেটো, কাঁচামরিচ, বেগুন, শিম, আলু, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ফসলের ওপর উৎপাদন খরচ বিশ্লেষণপূর্বক প্রতি কেজির গড় উৎপাদন খরচ নির্ণয় করা হয়েছে। বিপণন ব্যয় বিশ্লেষণপূর্বক উৎপাদন ব্যয়ের সাথে বিপণন ব্যয় ও মুনাফা যোগ করে কৃষক পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য কেজিপ্রতি (১৫-২০% লভ্যাংশসহ) পাইকারি পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য কেজি প্রতি  (১৩-২০% লভ্যাংশসহ) ও খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য কেজিপ্রতি (২০-২৫% লভ্যাংশসহ) ধরে প্রতি কেজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ছকে উল্লেখ করা হলো-
সবজি উৎপাদন অনেকটা প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবজি উৎপাদনকে অনিশ্চিত করে তুলে। এছাড়া বার্ষিক পরিক্রমায় দেখা যায়, এক বছর কোনো একটি সবজির ভালো দাম পেলে পরবর্তী বছর ভালো দামের আশায় অধিকাংশ কৃষক এ সবজি উৎপাদনে আগ্রহী হয় ফলে বাজারে ওই সবজি সরবরাহের আধিক্যে স্বভাবতই কৃষক কম দাম পায়। এদেশে প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন হলেও সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের অভাবে প্রচুর  পরিমাণ সবজি পচে নষ্ট হয়ে যায় এবং সংরক্ষণজনিত সমস্যার কারণে  উত্তোলন মৌসুমে কৃষক কম মূল্যে বিক্রয় করতে বাধ্য হয়। ফলে কৃষক তথা দেশের কৃষি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশে বেশির ভাগ কৃষকেরই পণ্য উত্তোলন মৌসুমে পণ্য গুদামজাতকরণ বা সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তাই কৃষক পর্যায়ে সবজির সংগ্রহ ও স্বল্পকালীন সংরক্ষণ সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া কৃষকদের সংগঠিত করে সবজি চাষিদের সমবায় সমিতি গঠন করা যাতে করে তারা পণ্যের ন্যায্য বিক্রয় মূল্য পেতে দরকষাকষির অবস্থানে যেতে পারে। সংগঠিত সবজি বাজারেরঅভাবে অনেক সময় সঠিক মূল্য নির্ধারণ সম্ভব হয় না। এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান মজবুত করতে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে  পারেন।

নাসরিন সুলতানা*

*সহকারী পরিচালক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা; NASRIN SULTANA.448@gmail.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon